"সবুজ সাথী" প্রথম ভাগ

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ মুজিবুল হক ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:১৯:২৭ সন্ধ্যা

ষাট ও সত্তবের দশকে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রথম শ্রেণী হতে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত "সবুজ সাথী" নামে একটি বাংলা বই পড়ানো হতে যা যথাক্রমে প্রথম শ্রেণীতে "সবুজ সাথী" প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় শ্রেণীতে "সবুজ সাথী" দ্বিতীয় ভাগ, তৃতীয় শ্রেণীতে "সবুজ সাথী" তৃতীয় ভাগ, চতুর্থ শ্রেণীতে "সবুজ সাথী" চতুর্থভাগ, পঞ্চম শ্রেণীতে "সবুজ সাথী" পঞ্চম ভাগ, নামে পরিচিত ছিল এখন যাদের বয়স ৪৫ এর উপরে তারা সবাই এই বই গুলি পাঠ্য হিসাবে পড়েছেন.. প্রথম শ্রেণীর "সবুজ সাথী" প্রথম ভাগের পাঠ্যে পদ্য ছড়া ও গদ্য ছিল এরকম. মা কলম কলা. হাশেম ভাই হাতি চড়ে বাঘ ভাল্লুক শিকার করে. খুকুমনি জনম নিল যেদিন মোদের ঘরে. ডালে নাচে বুলবুলি খুকু নাচে চুল খুলি, গণি মিঞা একজন কৃষক. শামীম বাগান করিল. জুলেখা ও ফুল পরী... দ্বিতীয় শ্রেণীর "সবুজ সাথী" দ্বিতীয় ভাগের পাঠ্যে পদ্য ছড়া ও গদ্য ছিল ভোর হলো দোর খোল.. দুশমনের খেদমতে.. মাহমুদের পায়রা.. পশুর বুদ্ধি ইত্যাদি.. আজ পর্যন্ত এত সহজ চয়নের পাঠ্য বই আমি দেখিনি আমি এবং আমার জান্নাতবাসী বড় ভাই একই সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৭৪ সালে. নতুন শ্রেণীতে উঠার পর আমাদের সাবেক শ্রেণীর পাঠ্য বই গুলি আমাদের মা বাবা যত্ন করে আলমারীতে তুলে রাখতেন. এই বই জমানো জারি ছিল আমরা অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়ন পর্যন্ত বাবা ও মা বাংলা সাহিত্য বইগুলিই জমিয়ে রাখতেন . এই বইগুলি ২০০১ সাল পর্যন্ত বেশ সযত্নেই ছিল. ২০০১ সালে আমাদের বড়ভাই মোহাম্মদ হামিদুল হক আকস্মিক ভাবে আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে জান্নাতবাসী হন . আমার বাবা যুবক পুত্রের এই আকস্মিক চলে যাওয়ার শোক সহ্য করতে পারেননি মাত্র সাড়ে নয় মাসের ব্যবধানে বাবাও আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে জান্নাতবাসী হন... ২০১১ সালে একদিন বইগুলি খুজঁতে গিয়ে জানতে পারি বড় ভাইয়ার মৃত্যুর পর বাবা প্রায় প্রতিদিন বইগুলি বের করে দেখতেন আর কাঁদতেন হয়তো ঐ সময় বইগুলি হারিয়ে যায় ... এই ব্লগে যারা লেখালেখি করেন তারা অনেকেই হয়তো এই বইগুলি স্কুল পাঠ্য হিসাবে পড়েছেন তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে যদি কারো কাছে এই বইয়ের কোন কপি থাকে আমাকে জানাবেন আমি ফটোকপি করে নিব এই বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি. আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন. আমিন...

বিষয়: বিবিধ

৩৭৬৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

352812
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১০
মুক্তআকাশ লিখেছেন : ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারে গিয়ে খোজ করেন। আশা কারি পেয়ে যাবেন। এখানে না থাকলে জাতীয় আর্কাইভে পাবেন। কারণ সেখানে ২৫ বছরের পুরাতন বই সংগ্রহ করা হয়। তবে সেখান থেকে কিনতে পারবেন না। ফটোকপি নিতে পারবেন।
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৭
292892
মোহাম্মদ মুজিবুল হক লিখেছেন : আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আপনি আমার আবেগের বিষয় বুঝতে পেরেছেন... আমার তো ঢাকায় খুব একটা যাওয়া হয়না আমাকে কি এই আর্কাইভের কোন লিন্ক পাঠাতে পারবেন ? আমি আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকব...
352813
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২৫
শেখের পোলা লিখেছেন : পড়িনাই তবে পড়িয়েছি৷ কারণ লেখাপড়াটা তখনও পুরোপুরি বানিজ্যিক হয়ে পারিনি৷ তাই বড়র শেষ করা বই ছোটর কাজে লাগত৷ শুধু প্রাইমারী নয় হাই স্কুলেও এমনটি হত৷ অনেকক সময় ব্যাকারণ আর গ্রামার বদল হত কিন্তু বাকীগুলে পুরাণোই চলত৷ তা আপনি যদি ফটো কপি করেন, সব কি করতে পার বেন? আল্লাহ আপনার সহায় হোন৷ধন্যবাদ৷
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
292896
মোহাম্মদ মুজিবুল হক লিখেছেন : আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ.. যদি শুধুমাত্র একটি বইও পেয়ে যাই তাও তো লাভ... দেখবেন নাকি একটু চেষ্টা করে ?
352829
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আর্কাইভ বা পুড়ান স্কুল এর পাঠাগারে পাওয়া যেতে পারে।
352836
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৫৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আমারও মনে পড়ে- পড়েছি
352866
০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০১
আবু আশফাক লিখেছেন : =
ট্যাংরা নাচে

চিংড়ি নাচে

নোংরা করে পানি,

ঘাটে বসে হাসাহাসি

করে কানাকানি।
০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২৫
292947
মোহাম্মদ মুজিবুল হক লিখেছেন : ডালে নাচে বুলবুলি খুকু নাচে চুল খুলি ..
353106
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৭
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File